সোনাতলা পৌরসভার ২০১৯-২০ অর্থ বছরের ১৩ কোটি ১২ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকার উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা
সংবাদ আজকাল ডেক্সঃ সোনাতলা পৌরসভার ২০১৯-২০ অর্থ বছরের উন্মুক্ত বাজেট ঘোষনা করা হয়েছে। আজ সকাল ১০টায় পৌর টিএলসিসি রুমে সকল কাউন্সিলর ও টিএলসিসি সদস্য গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সকল কে ধন্যবাদ জানিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের বাজেট ঘোষনা করেন, পৌর মেয়র আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর আলম নান্নু। এবারের সর্বমোট বাজেট হিসাবে ১৩ কোটি ১২ লক্ষ ৪৬হাজার ৮শত ৫১ টাকা ৯২ পয়সা করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রস্তাবিত বাজেট উদ্বুত্ত ১২ কোটি ৬৬ লক্ষ ৮শত ৫১ টাকা ৯২ পয়সা ধরা হয়েছে। মোট রাজস্ব আয় ১ কোটি ৯৭ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮শত ৫১ টাকা ৯২ পয়সা। মোট রাজস্ব ব্যয় ১ কোটি ৮৪ লক্ষ ৮ হাজার টাকা। মোট উন্নয়ন আয় ১১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। মোট উন্নয়ন ব্যয় ১১ কোটি ১৫ লক্ষ টাকা। সর্ব মোট আয় ১৩ কোটি ১২ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮শত ৫১ টাকা ৯২ পয়সা। সর্ব মোট ব্যয় ১২ কোটি ৯৯ লক্ষ ৮ হাজার টাকা দেখানো হয়েছে। বাজেট ঘোষনা পূর্ব আলোচনা সভায় সোনাতলা পৌসভার বিভিন্ন উন্নয়ন উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রাস্তা উন্নয়নে চলতি অর্থ বছরে ১১ কিলোমিটার রাস্তা উন্নয়ন করা হয়েছে। আগামী অর্থ বছরে গুরুত্বপূর্ণ নগর উন্নয়ন প্রকল্প ও এডিপি বরাদ্দ হতে ১৫ কিলো মিটার রাস্তা উন্নয়নের প্রস্তাব রাখা হয়েছ এবং ৮০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১.২৫ কিলোমিটার ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। এবং আগামী অর্থ বছরে ড্রেন নির্মানের জন্য ১.৫০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে। বিভিন্ন স্থানে যাত্রী /শিক্ষার্থী ছাউনির প্রস্তাব রাখা হয়েছে। শিশু ও বিনোদন পার্ক স্থাপন এর রেলের পতিত জায়গা বরাদ্দ নিয়ে শিশু পার্ক স্থাপন করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। পাবলিক টয়লেট ৪টি থাকলেও আরো ২টি স্থানের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। ডাস্বিন ৮৫টি আধুনিক মানের স্থাপন করা হয়েছে। আগামী অর্থ বছরে আরো ৫০টি স্থাপন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাস্তা আলোকিত করণ চলতি অর্থ বছরে ৭০০টি পয়েন্টে রোড লাইট দেওয়া হয়েছে আগামী অর্থ বছরে আরো বৃদ্ধি করা হবে। স্বাস্থ্য সেবার লক্ষ্যে আগামী অর্থ বছরে একটি পৌর স্বাস্থ্য কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা রয়েছে। মশক নিধন অভিযান আরো বৃদ্ধি করার পরিকল্পনা রয়েছে। সীমানা পিলার স্থাপন ১৯ বছর হলো পৌরসভার স্থাপিত কোনো সীমনা পিলার তোরণ না থাকায় চলতি বছরে ৪টি সীমনা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়াও জিডিটাল তথ্যসেবা কেন্দ্র স্থাপনে সকল ধরণের সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। জন্ম/মৃত্যু অনলাইন নিবন্ধন বর্তমান ৬০% হলেও আগামী অর্থ বছরে ১০০% নিশ্চিত করা হবে। এবং পৌর কর, ব্যাংকের মাধ্যমে ট্রেডলাইসেন্স ফি আদায়, বৃক্ষ রোপন, ই-ট্রেন্ডার, বা ইজিপি ট্রেন্ডার পদ্ধতি বাস্ত বায়ন। ডিজিটাল লাইটিং সাইনবোর্ড স্থাপন। জেন্ডার বৈষম্য দুরি করণে নারী-পুরুষের বৈষম্য দুর করণে নারী উন্নয়ন নারীদেও সকল ক্ষেত্রে অংশিদারিত্ব প্রশিক্ষণ ও স্বাবলম্বি করার জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে।