সোনাতলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষিকা শামিমার বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ
উপজেলা প্রতিনিধি : বগুড়া সোনাতলা উপজেলার বালুয়াহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা শামীমা সুলতানার বিরুদ্ধে দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী। এঘটনায় এলাকাবাসীর পক্ষে বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবলু মন্ডলের ছেলে সাবেক ইউপি সদস্য আপেল মন্ডল স্বাক্ষরিত একটি লিখিত অভিযোগ- বগুড়া জেলা প্রশাসক, বগুড়া ১ আসনের সাংসদ, মহাপরিচালক প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, চেয়ারম্যান সোনাতলা উপজেলা পরিষদ, বগুড়া জেলা উপ-পরিচালক দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং সোনাতলা প্রেস ক্লাবে লিখিত অভিযোগ পত্রের অনুলিপি প্রদান করেন। তিনি তার অভিযোগে উল্লেখ করেন, বালুয়াহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের জায়গায় পাঁচটি দোকান ঘর নির্মাণ করে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা উৎকোচ নিয়ে প্রতি মাসে ৬০০০ টাকা ভাড়া নিয়ে আসছেন। এছাড়াও বিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ গাছ বিক্রয়, পুরাতন ঘর নিলাম ছাড়া বিক্রয় সহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প অনুদানের অনিয়ম করে আসছেন। এদিকে বিদ্যালয়টির নৈশ্য প্রহরী থাকা সত্ত্বেও মদ জুয়া গাজার আসর বসে প্রতিনিয়ত। কেউ কথা বলতে গেলে তাকে মামলা মোকদ্দমার ভয় দেখিয়ে দমিয়ে রাখেন।
গতকাল ১২জুন (বুধবার) ওই বিদ্যালয়ের নামমাত্র রেকর্ড জমিতে যাহা বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। সেই জমিতে জোরপূর্বক টিনের বেড়া দেওয়ার চেষ্টা করলে জমির দাবিদার আপেল মেম্বার সহ এলাকাবাসী বাঁধা প্রদান করে।
খবরপেয়ে সরেজমিনে গিয়ে প্রধান শিক্ষিকা শামিমার কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি জানান, বিদ্যালয় এর অন্য স্থানে সংস্কারের জন্য বেড়া প্রস্তুত করতেছি। এটা দেখে তারা তাদের বিচারাধীন জায়গায় বেড়া হবে ভেবে জমায়েত হয়। এদিকে তিনি কৌশল অবলম্বন করে- নির্বাহী অফিসারকে জানায় অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এসময় এমন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিন পুলিশ ফোর্স নিয়ে অতর্কিতভাবে আপেল ও তার খালাতো ভাই তোতাকে আটক করে থানা গাড়িতে ওঠায়। ফলে এঘটনায় ভিতীকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
এসময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা শারমিনের নির্দেশে মামলা চলোমান বিবাদকৃত ওই জায়গাটিতে টিনের বেড়া স্থাপন করে। পরে সাংবাদিকরা উপস্থিত হলে ও এলাকাবাসীর তোপের মুখে আটককৃতদের ছেড়ে দিয়ে উভয়পক্ষকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে উপস্থিত হতে বলে চলে আসেন।
এ সময় সাংবাদিকরা উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে কথা বলতে চাইলে অপরাগতা কথা প্রকাশ করেন।
এঘটনায় ভুক্তভোগী আপেল মেম্বরের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমার বাব-দাদার পৈত্রিক সম্পত্তি ওই মেডাম জোড় করে জবরদখল নেওয়ার পায়তারা চালাচ্ছে। যা বর্তমানে আদালতে মামলা বিচারাধীন।