কলারোয়ায় মেহেরপুরের ৩০ কৃষকের গ্রীষ্মকালীন বিভিন্ন ক্ষেত পরিদর্শন
কলারোয়ায় কৃষিতে উন্নয়ন হচ্ছে। এগিয়ে যাচ্ছে কৃষি ও কৃষক কলারোয়া ফলের চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। কলারোয়া সহ সারাদেশে যাচ্ছে বিভিন্ন ধরনের ফল ফলাদি। তার মধ্যে অন্যতম গ্রীষ্মকালীন টমেটো, কুল, ধান,মাল্টা, ড্রাগন ফল।
বৃহত্তম কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় কৃষক উদ্বুদ্ধকরন ভ্রমণ ২০২২ (১আগস্ট) সোমবার সকাল ১১টায় কলারোয়া আসেন মেহেরপুরের তিন উপজেলার ৩০জন কৃষক।
এসময় তারা উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের আক্তারুল ইসলামের মাল্টা বাগান, যুগীখালী ইউনিয়নের কামারআলী মাঠের টমেটো ক্ষেপত এবং যুগীখালী ইউনিয়ন কামারআলী মাঠের মাস্টারের ড্রাগন বাগান প্রদশর্ন ও ভ্রমণ করেন। এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন-কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা কৃষি অফিসার সামছুর আলম, মেহেরপুর সদর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ জাহিদ হোসেন,উপসহকারী কৃষি অফিসার সমির কুমার, উপসহকারী কৃষি অফিসার তপন কুমার সহ উপজেলার বিভিন্ন সফল কৃষকগণ উপস্থিত ছিলেন।
মেহেরপুর জেলা কৃষি অফিসার সামছুর আলম বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি বাংলাদেশ মধ্যে সাতক্ষীরার কলারোয়া কয়েকটি ফসলের দিক দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তাঁর মধ্যে অন্যতম গ্রীষ্মকালীন টমেটো, মালটা ও ড্রাগন ফল। হেলাতলার আক্তারুল ইসলামের মালটা বাগানে গিয়েছিলাম সেটা দেখে অনেক কৃষক উদ্বুদ্ধ হয়েছে এবং কিছু গাছের চারা সংরক্ষণের জন্য নেয়া হয়েছে। আশা করছি আগামীতে ভালো ফলাফল আমরা পাবো।
টমেটোর ক্ষেত প্রদশর্ন করার মধ্য দিয়ে আগামী বছর থেকে আমরা
এই চাষ শুরু করব। এই জেলা কর্মকর্তা আরো বলেন-অল্প খরচে ভাল ফলন ও লাভও বেশি।কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ রফিকুল ইসলাম বলেন-বাংলাদেশ সরকার মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার কৃষি বান্ধব সরকার। আমরা কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিস দিন রাত চেষ্টা করছি উপজেলার বেকার যুবক ও পরিশ্রমী কৃষকদের সাথে নিয়ে দেশকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।
এ বছরে কলারোয়া উপজেলায় ৭৩ হেক্টর জমিতে চাষ হচ্ছে গ্রীষ্মকালীন টমেটো। তা ছাড়াও ড্রাগন ও মাল্টা চাষে অল্প খরচে অধিক লাভ হচ্ছে। মেহেরপুর জেলা থেকে আসা কয়েক জন কৃষক জানান, আমরা কলারোয়া থেকে মাল্টা গাছের চারা সংগ্রহ করেছি, আগামীতে আমরা টমেটো এবং ড্রাগন চাষে করে লাভবান হবো।