বগুড়া সোনাতলায় এসএসসি পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের আগেই খাতা কেরে নিলো শ্রেনী শিক্ষক! কান্নায় ভেঙে পরলো শিক্ষার্থীরা
সংবাদ আজকালঃ
বগুড়া সোনাতলা মডেল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে এসএসসি পরিক্ষার প্রথম দিনেই কেন্দ্র শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে পরীক্ষার্থীরা।
আজ রবিবার সোনাতলা মডেল স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে ১০৩ নাম্বার কক্ষে দ্বায়িত্বরত সোনাতলা সবুজ সাথী স্কুলের সহকারী শিক্ষক আবুবক্কর সিদ্দিক ও উপজেলার পদ্মপাড়া লুৎফর রহমান বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সাবু চৌধুরী দ্বায়িত্বে ছিলেন।
পরিক্ষার্থীদের অভিযোগ পরীক্ষাশুরুর নির্ধারিত সময়ের ১৫মিনিট পর খাতা ও উত্তরপত্র পায় তারা। পরবর্তীতে পরীক্ষার শেষে নির্ধারিত সময়ের আগেই উত্তরপত্রের খাতা কেরে নেয় ওই দ্বায়িত্বরত ২ শিক্ষক ও সোনাতলা মডেল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ মতিয়ার রহমান। এসময় শিক্ষার্থীরা উত্তরপত্রের প্রশ্ন লেখা বাকীঁ থাকায় ১৫মিনিট সময় চাইলে তার কোনো তোয়াক্কা না করেই জোড় পূর্বক খাতা কেরে নেওয়ায় বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ করতে থাকে পরীক্ষার্থীর া। খবর পেয়ে সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রেজাউল করিম রেজা গিয়ে প্রথমে পরীক্ষার্থীদের আশ্বাস দিয়ে শান্ত করে পুনোরায় ওই রুমে গিয়ে বসে পরীক্ষা নেওয়া হবে বলে জানান।
এরপর উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরীক্ষার্থীদের রুমে গিয়ে পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে শুনে অভিযুক্ত শিক্ষককে প্রশ্ন করেন, কেন এমন করা হলো জানতে চাইলে ওই দুই শিক্ষক বলেন , অবজেকটিভ উত্তর পত্রের কয়টি দিতে হবে তা জানা না থাকার কারনে, উত্তরপত্র দিতে দেরি হয়। এবং ৪-৫ মিনিট আগে খাতা নেওয়া হয়। ও দায়িত্বরত দুই শিক্ষকের কাছে ঘটনার বিবরণ শুনে ওই দুই শিক্ষক কে পরীক্ষার কেন্দ্রের দ্বায়িত্বে থেকে অব্যহতি দেওয়ার জন্য কেন্দ্র সচিবকে নির্দেশ দেয়।
এসময় পরীক্ষার্থীরা তাদের পরীক্ষার উত্তরপত্র দেওয়ার নির্ধারিত ১৫ সময় পূণরায় সময় চাইলে ইউএনও পরীক্ষা সচিবকে খাতা দেওয়ার কথা বললে সচিব জানান, ওএমআর সিট কাটা হয়েছে। যার কারনে পরীক্ষার্থীদের আর কোনো সূযোগ নেই বলে জানান। এসময় পরীক্ষার্থীরা কান্নায় ভেঙে পরেন এবং পরীক্ষার্থীদের মধ্যে দুই একজন সুইসাইট করার কথা বলেন।
ঘটনা শুনে স্থানীয় এক শিক্ষার্থীর অভিভাবক কেন্দ্রে এসে পরিস্থিতি দেখে সে নিজেও কেন্দ্র সচিবকে পুনরায় ১৫মিনিট পরীক্ষা নেওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু তাতেও কোনো লাভ হয়নি তার । এমনটাই জানিয়েছেন সাংবাদিকদের।
এদিকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন জানান, দ্বায়িত্বরত শিক্ষকদের অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীদের পরবর্তি পরীক্ষা গুলো ভালো প্রস্তুতি নিয়ে দেওয়ার কথা বলেন।
এব্যপারে অভিযুক্ত ওই দুই শিক্ষক তাদের দ্বায়িত্ব অবহেলার কারনে ক্ষমা চেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন।
কেন্দ্র সচিব মতিয়ার রহমান ঘটনাটি পুরোপুরি সত্য নয় বলে জানান। তবে তিনি স্বীকার করেন নির্ধারিত সময়ে খাতা দিতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে।