অসম্ভব ব্যস্ততাগুলোর ফাঁকে চাপাপড়া একটা গল্প- মহিমাগঞ্জ রক্তদাতা সংগঠন
শাহাব উদ্দীন রাফেল,স্টাফ রিপোটারঃ তবে আজ গল্প হোক রক্তের অভাবে হারিয়ে যাওয়া মানুষগুলোকে নিয়ে।মানুষগুলো হারিয়ে গেছে, সৃষ্টিকর্তারর ডাকে সাড়া দিয়ে।কিন্তু কিছু জলজ্যান্ত আফসোস রেখে গিয়েছে।রেখে গেছে একবুক আশা নিয়ে রক্তের খোঁজ।রেখে গেছে রক্তের অভাবে মারা যাওয়ার আর্তনাদ।রেখে গেছে তার নিজ শরীরের রক্ত অন্য শরীরে কিন্তু নিয়তির কি নির্মম পরিহাস! যখন তার প্রয়োজন পড়লো তখন কেউই এগিয়ে এলো না!
হ্যা রক্ত খুব প্রয়োজনীয় জিনিস, রক্ত দান করাটাও খুব প্রয়োজনীয়।
আজ আপনার একব্যাগ রক্তের বিনিময়ে যদি একজন মানুষ বাঁচে তাহলে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কি হতে পারে!হয়তো আমি,আপনি বলছি আপনার বা আমার শরীরের কান্ডিশন ভালো না!কিন্ত একবার ভেবে দেখুনতো যে ব্যাক্তিটা অসুস্থ তারচেয়েও কি খারাপ অবস্থা আপনার।
একবার ভেবে দেখুন তো যদি কখনো আপনার নিজের বা আপনার পরিবারের কারো রক্তের প্রয়োজন পরে কিন্তু তখন আপনাকে কেউ বলে শরীরের অবস্থা খারাপ দিতে পারবে না তখন কেমন লাগবে?না পারবেন জোর করতে আর না পারবেন সহ্য করতে।সৃষ্টিকর্তা এমন অবস্থাতে আমাদের কাউকেই না ফেলুক।
আসুন না স্বেচ্ছায় রক্ত দেই আমরা।ক্ষতি নেই।ব্লাড ডোনেটে আপনার শরীর খারাপ হবে না।
কিছু অসহায় চোখ কেঁদে দেবে খুশিতে আপনার রক্তদানে।তখন যে অনুভুতিতা হবে সেই অনুভুতিটাই আপনার আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দেবে।রক্তের অভাবে পড়েন নি হয়তো কষ্টটা বোঝা যায় না তাই।যে পড়েছিলো তাকে একবার জিজ্ঞেস করলে মুখে শুধু হতাশার চাপ ছাড়া কিছু পাওয়া যাবে না।দেখবেন কিছুটা সময় নিশ্চুপ হয়ে একটা দীর্ঘশ্বাসের আওয়াজ শুনতে পাবেন।সেইটা শুধু দীর্ঘশ্বাস না।আপন হারানোর বেদনামিশ্রিত শুষ্ক কান্না।
ইচ্ছা করলেই আপনি পারেন একজনার জীবন বাঁচাতে,টাকা-পয়সা দিয়ে নয় আপনার রক্ত দিয়ে।টাকা পয়সার চেয়ে হাজারগুন দামী এইটা।কিন্তু দেখেন এই অমুল্য সম্পদ দান করতে আপনার শুধু ৫টা মিনিট ব্যয় হচ্ছে।
আর আপনার এই ৫ মিনিটের বিনিময়ে কিছু মানুষ স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছে।
আপনারা নিজেরা নিজেদের জাগয়া থেকে এগিয়ে আসুন।মানুষ মানুষের জন্য জীবন জীবনের জন্য এই হোক আমাদের প্রত্যাশা।