সোনাতলার নবীন ও তরুণ প্রজন্মের লেখক রুহুল আমিন শান্ত
এম.এ রায়হান কবির: রুহুল আমিন শান্ত।জন্ম ২৮ নভেম্বর ২০০২ খ্রি. তার নানাবাড়ি গাইবান্ধা জেলার অর্ন্তগত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার ফুলহার গ্রামে।পিতা মোঃরেজাউল করিম এবং মাতা মোছাঃরুপালী বেগম।শৈশব এবং কৈশর কাটান নিজ প্রাচীন বাংলার রাজধানী বগুড়া জেলার সোনাতলা উপজেলার অর্ন্তগত “গোসাইবাড়ি” গ্রামে।চরপাড়া হাটের ‘মর্নিং সান কিন্ডার গার্টেন কেজি’ স্কুলের মাধ্যমে তার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষাজীবন শুরু হয়।সেখান থেকে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে ভর্তি হন সোনাতলা উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ এবং শত বৎসরের ঐতিহ্যবাহী ‘সুখানপুকুর উচ্চ বিদ্যালয়ে’।সেখান থেকে কৃতিত্ত্বের সহিত মাধ্যমিক পাস করে বর্তমানে বগুড়া জেলার সুনামধন্য ‘সরকারী শাহ্ সুলতান কলেজে’ দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগে অধ্যয়ন করছেন।বাল্যকাল থেকেই তিনি সাহিত্য প্রেমি এবং ভাবুকতা প্রিয় তবে লেখালেখির শুরু কৈশরকালে,একসময় তার ভাবনাগুলোই তুলে ধরেন কলমের খোচায়।
“আলো আঁধারে জীবন” তার লেখা প্রথম কাব্যগ্রন্থ,মানুষ প্রকৃতি এবং প্রেম তার লেখনীর মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।গ্রন্থটির নিবেদনে রুহুল আমিন শান্ত বলেন,মানুষ প্রকৃতি এবং প্রেম নিয়েই লেখা আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ “আলো আঁধারে জীবন”। সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় কবিতা আবিষ্কারে বলেন, প্রেমে পড়ো, মদ খাও। প্রেমের ব্যর্থতা থেকে কবিতা লিখো। এ কথার আমি ঘোর বিরোধিতা করে মনে করি, ব্যর্থতার গ্লানির চেয়ে সফলতার স্বপ্ন বেশি শক্তিশালী হয়।
সব কবিই প্রেমিক। প্রেমহীনে কবিতা হয়নি। প্রেম কবিতাকে এনে দিয়েছে নৈসর্গের লাস্যতা। প্রেম অলৌকিক বস্তুর সমন্বয়ও বটে। প্রেম যেমন এক জাগতিক সোহাগের বাহন,তেমনি প্রেম ঐশ্বরিক এক বিনোদনের মাধ্যমও বটে। কবিরা সাধারণত সৃষ্টি অথবা উষ্ণতার স্বপ্নই দেখাতো। কিন্তু কবিরা শব্দের মাধ্যমে মানুষের স্থায়ী ভালবাসার স্বপ্ন যেমন আঁকেন তেমনি দেখাতে চান তার প্রেয়সীর উপশমতা। এটাই বাস্তবতা। যদি হয় কবির কবিতায় প্রেয়সীর আজন্ম সুস্থতার কথা তখন কবিতা হবে ঔষুধ পথ্য, কবি হবে ভালবাসা।সেই ভাবনায় আমার প্রথম কাব্যগ্রন্থ যা অনেক বোদ্ধা পাঠকের দৃষ্টিগোচর হবে বলে আমার বিশ্বাস।