সারিয়াকান্দিতে প্রতিপক্ষকে ফাসানো জন্য নিজ ঘরে অগ্নি সংযোগ
মো: জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার সারিয়াকান্দি চন্দনবাইবশা ইউনিয়নের ঘুঘুমারী দক্ষিণ আকন্দ পাড়া গ্রামে চাচা নূর মহম্মদকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টায় নিজ ঘরে আগুন দেয় ভাতিজা শ্যামল। জানা যায়, ওই গ্রামের দাবু আকন্দ ও আসু আকন্দ দুই ভাই। আসু আকন্দের এক মাত্র ছেলে নূর মহম্মদ এবং দাবু আকন্দের চার ছেলে। নূর মহম্মদ রোজগারের জন্য স্বপরিবারে ঢাকায় বসবাস করে।
এই সুবাদে জেঠাতো ভাই নান্নু ও ফজলু নূর মহম্মদের চন্দনবাইশা মৌজার ৭৯০ নম্বর দাগে ঘর-বাড়ি নির্মাণ করে বসবাস করে। এদিকে ঢাকায় অবস্থানরত নূর মোহাম্মদের ছেলে কিডনি রোগে আক্রান্ত। ছেলের চিকিৎসার জন্য চাচাতো ভাইদের কাছে জমির বিনিময়ে কিছু টাকা চাইলে অন্য ভাই রঞ্জু রাজি হলেও ওই জমিতে বসবাস রত নান্নু ও ফজলু অস্বীকৃতি জানায়। নূর মহম্মদ নিরুপায় হয়ে চাচাতো ভাই রঞ্জুর নিকট জমি দিবে বলে মহুরি ডেকে দলিল সম্পাদন করে। এতে ওই জমিতে বসবাসরত নান্নু ও ফজলু সহ তার স্ত্রী সন্তানরা ক্ষিপ্ত হয়। নূর মহম্মদ তাদের ক্ষিপ্ততা বুঝতে না পেরে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত অনুমান ১০ টায় ভাতিজা শ্যামলের ঘরে রঞ্জুর ছেলে ভাতিজা সোহাগ কে নিয়ে ঘুমিয়ে যায়।
এদিকে শ্যামল নিকটস্থ দোকান থেকে কেরোসিন তেল এনে ঘরে ছিটিয়ে দিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। এই সময় পাশের ঘরে থাকা শ্যামলের মা গিনি বেগম টের পেয়ে শ্যামলকে আগুন ধরাতে নিষেধ করে। শ্যামল ক্ষিপ্ত হয়ে তার মাকে মারপিট করে এবং ঘার ধেক্কা দিয়ে তারিয়ে দিয়ে ঘরে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুন দাউ দাউ করে জ্বলতে থাকায় প্রতিবেশিদের চিৎকারে নূর মহম্মদের ঘুম ভেঙ্গে যায়।
এ বিষয়ে নূর মহম্মদ বলে ঘুম থেকে জেগে ঘরে আগুন জ্বলা দেখে বের হওয়ার চেষ্টা করি। কিন্তু ঘরে দুটি দরজা বাহির থেকে আটকানো। আমি বেড়া ভেঙ্গে বের হওয়ার চেষ্টা করলে দেখি টিনের বেড়াতে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া। প্রতিবেশিরা ঘরের দরজা খুলে দিলে আমি বাহির হই। ইতিমধ্যে প্রতিবেশিরা আগুন নিভিয়ে ফেলে। এ বিষয়ে শ্যামলের মা গিনি বেগম বলেন আমি টের পেয়ে আমার ছেলে শ্যামলকে আগুন ধরাতে বাধা দিলে সে আমাকে মারার জন্য ধাওয়া করে রঞ্জুর ছেলে রোমান আমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে তার সাথে মারামারি বেঁধে যায়।
চন্দবাইশা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এস,আই আব্দুল আলিমের সাথে কথা বলে জানা যায় ওই রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। তিনি বলেন আগুন লাগার ঘটনা সত্য তবে মামলা হলে তদন্ত স্বাপেক্ষে দোষি ব্যক্তিকে সনাক্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ বিষয়ে শ্যামল বলেন সকালে আমার স্ত্রী এবং শ্বশুরিকে মারপিট করার পরে আমার শ্বশুরি ইউনিয়ন পরিষদে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ করার কারনেই আমার বিরুদ্ধে এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। নূর মহম্মদের দাবি সু পরিকল্পিত ভাবে আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্যই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে।