বগুড়ায় অল্প বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ভিখারীকে ধারাবাহিক ধর্ষণ : সাড়ে ৪ মাসের অন্তঃস্বত্তা!
রায়হানুল ইাসলাম : বগুড়ার কাহালুর ধাওয়াপাড়ায় অল্প বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ভিখারীকে দীর্ঘদিন ধরে ধারাবাহিক ধর্ষণের ফলে সাড়ে ৪ মাসের অন্তঃস্বত্তা! হওয়ার পরও এলাকার স্থানীয় প্রভাবশালীমহলের চাপে মামলা করতে পারছেনা ভুক্তভোগীর পরিবার।
এমনকি তারা বিচারের আশায় দ্বারে ঘুরে হতাশ। ঘটনাটি ঘটেছে গত প্রায় সাড়ে ৪ মাস আগে কাহালু উপজেলার ধাওয়াপাড়া গ্রামে।ভিকটিম সাহিদা (আনুমানিক ১৭) ও তার পরিবার সূত্রে জানা গেছে, অল্পবুদ্ধি প্রতিবন্ধ ভিখারী সাহিদাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গত ৩ rরেডিওলজি ও ইমেজিং বিভাগে চিকিৎসা নিলে তার অন্তঃস্বত্তার বিষয়টি প্রকাশ পায়।
ঘটনার সত্যতায় ভিকটিম সাহিদা সাংবাদিকদের ক্যামেরার সামনে অবলিলায় জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে একই এলাকার দ্বৈমুদ্দিনের পুত্র বাদশা মিয়া (আনু: ৪৫) ৩ সন্তানের জনক, সমির উদ্দিনের পুত্র সাধু (আনু:৪৫) ৪ সন্তানের জনক ও আবু তাহেরের পুত্র লয়া মিয়া কাহালু থেকে ভিক্ষা শেষে বাদশা মিয়ার ভ্যানে আসার সময় উল্লেীখতরা শীতলাই মাটাম পাতারে জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখি এমনকি মাথায় কিল ঘুসি মেরে ধর্ষণ করে। একই সাথে তারা শাসিয়ে দেয় যে ঘটনাটি কাউকে বলছে তাকে ও তার মাকে মেরে ফেলা হবে। বিষয়টি সাহিদা তার মাকে জানালে লোক লজ্জার ও ভয়ে প্রকাশ না করে চুপ থাকেন।
এই সুযোগে সাহিদা ভিক্ষা করে ফেরার সময় উল্লেখিতরা নিয়মিতভাবে ধর্ষণ অব্যাহত রাখে। পরবর্তীতে সাহিদা অন্তঃস্বত্তা হলে বিচারের আশায় গোপনীয়ভাবে গ্রামে মিমাংসার চেষ্টা করা হয়। কিš‘ আসামীরা কোন দায় নিতে অস্বীকৃতি জানালে এবং ভয়ভীতি অব্যাহত রাখলে ভিখারী পরিবারটি অনাগত শিশু ও তার মাকে লালন পালনসহ বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়ে পড়ে। তারা গ্রামের প্রভাবশালী, ঐ ওয়ার্ডের মেম্বারসহ বিভিন্ন¯স্থানে সমাধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
এসময় তারা প্রশাসনের সহায়তা নেয়াকেউ হুমকি মনে করে মামলা করতে যেতে পারেনি বলে জানান সাহিদার মা গোলাপী বেগম। এ প্রতিবেদকসহ সাংবাদিকরা বিষয়টি কাহালু থানায় অবগত করলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি আমাদের জানা নেই। এতদিনের ঘটনা কে কেউ থানায় জানাইনি তা আমার বোধগম্য নয় তবে বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন।