‘ফণি’ মোকাবেলায় নেওয়া হয়েছে নানা সাতক্ষীরায় উদ্যোগ। শেখ মাহামুদুর রহমান (হাসান) কালিগঞ্জ,সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
এই জন্য সাতক্ষীরা সার্কিট হাউজে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা , উপজেলা চেয়ারম্যান সহ গুরুত্ব পূর্ণ দায়িত্বে থাকা সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকে নিয়ে এক জরুরি সভার আয়োজন করেন জেলা প্রশাসক ।
সভায় বিশেষ করে শ্যামনগরে, আশাশুনি ও কালিগঞ্জ ঝুঁকিপূর্ণ ভেড়িবাধ গুলোতে বালুর বস্তা ফেলা ও দুর্যোগ কালীন সময় সকলকে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়ার ব্যাপারে সর্তক থাকার কথা বলা হয়েছে ।
সাতক্ষীরা মাঠগুলোতে এখনো খেলা করছে সোনালি পাকা ধান । কৃষক সারাদিন ব্যস্ত সময় পার করছে ধান কেটে ঘরে তোলার কাজে । আর এরি মধ্যে বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণি’ জেলায় আঘাত হানার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে ।
এ মুহূর্তে এর গতিপথ যেভাবে রয়েছে তাতে প্রথমে এটি ভারতের উড়িষ্যায় আঘাত করবে। এরপর পশ্চিম বাংলায় আঘাত হানতে পারে । কিন্তু এর গতিপথ যদি পরিবর্তন হয়, তাহলে সমুদ্রের কোলঘেঁষে সরাসরি বাংলাদেশে আঘাত হানবে। যদি তা হয়, এটি খুলনা, মংলা, সাতক্ষীরা, চট্টগ্রাম হয়ে ভয়াবহ আকারে কক্সবাজার পর্যন্ত বিস্তৃত হবে।
বিগত দুর্যোগ সিডর বা আইলার সময় সাতক্ষীরা যেমন ক্ষয় ক্ষতির সম্মুখীন হয় । এবার পূর্ব পরিকল্পনার ও প্রস্তুতির মাধ্যমে তা রোধ করা যাবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে ।
সেই সাথে সাত নম্বর সিগনাল পাওয়ার পর সকল কে বাধ্যতা মূলক ভাবে আশ্রয় কেন্দ্রে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে জেলাপ্রশাক ।
2 Attachments