পালিত হলো পবিত্র আশুরা

SangbadAjKalSangbadAjKal
  প্রকাশিত হয়েছেঃ  01:59 PM, 10 September 2019

সাহাব উদ্দিন রাফেল : হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর প্রিয় দৌহিত্র হযরত ইমাম হোসেন (রাঃ) এর শাহাদাত বরণের শোকাবহ স্মৃতি বিজড়িত দিন ১০ মহররম আমাদেরকে আজো গভীর দূ:খ ভারাক্রান্ত ও বেদনার্ত করে তোলে। বিশ্ব মুসলিমসহ সারা মানবজাতিকে শোক ও বেদনায় স্তব্ধ করে দেয়। অসত্য, জুলুম ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে জেহাদ করতে গিয়ে কারবালায় তিনি নিজ পরিবার, ঘনিষ্ঠজন ও অনুচরবৃন্দসহ জালিমের হাতে শহীদ হন।

প্রতিবছর মুসলিম বিশ্বের ন্যায় আজ ঢাকাতে ও যথাযোগ্য ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে শিয়া সুন্নি বাংলাদেশিরা পবিত্র আশুরা উদযাপন করেন। হুসেনের সমাধি তাঁর মৃত্যুর কয়েক বছর পরে শিয়া মুসলমানদের মধ্যে একটি তীর্থস্থান হয়ে ওঠে। ইমাম হুসাইন মাজার এবং কারবালার অন্যান্য শহীদের তীর্থযাত্রার দ্রুত ঐতিহ্য গড়ে ওঠে, যা জিয়ারত আশুরা নামে পরিচিত।

আজ সরকারি ছুটির দিনে সকাল থেকে ঢাকা মোহাম্মাদপুর কলেজ গেট বেহারী ক্যাম্প এলাকায় বসবাসরত শিয়া সুন্নি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

অনুষ্ঠানসূচীর মধ্যে ছিল আলোচনা সভা, দোয়া পাঠ, তাজিয়া মিছিল ও তাবারুক বিতরন।

আলোচনায় অংশ নিয়ে বক্তারা বলেন, কারবালার শোকাবহ এ দিনটিকে মুসলিম বিশ্ব ত্যাগ ও শোকের প্রতীক হিসেবে এবং বিশেষ পবিত্র দিন হিসেবে পালন করে। এ দিবসটি মুসলমানদের কাছে অনেক কারনে তাৎপর্যপূর্ণ।

প্রায় এক হাজার বছর আগে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সঃ) এর দৌহিত্র হজরত ইমাম হোসেন (রাঃ) সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে যুদ্ধ করতে গিয়ে ফোরাত নদীর তীরে কারবালার প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে শহীদ হন।

১০ মহররমের এ ঘটনা সকলকে অন্যায় ও অত্যাচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে অনুপ্রেরনা যোগায়। সত্য ও সুন্দরের পথে চলতে প্রেরনা যোগায়। শান্তি ও সম্প্রীতির ধর্ম ইসলামের আদর্শকে সমুন্নত রাখতে আত্মত্যাগের এ ঘটনা উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে আছে।

শেষে সবাই “ইয়া হোসেন, ইয়া হোসেন” ধ্বনিতে তাজিয়া মিছিল বের করে কয়েকটি রাস্তা প্রদক্ষিন করে। পরে দেশ, জাতি ও মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি এবং সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

আপনার মতামত লিখুন :