নিষিদ্ধ গাইড ও নোট বইয়ে বাজার সয়লাব,সৃজনশীল শিক্ষা ব্যাহত
জাহিদুল ইসলাম জাহিদ, সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি: কোন ভাবেই থামছে না স্কুল, কলেজ পর্যায়ে নোট গাইডের দৌরাত্ব্য। সরকারী ভাবে নিষিদ্ধ হওয়া সত্বেও বাজারে অবাধে বিক্রি হচ্ছে নোট ও গাইড বই। আর শিক্ষার্থীদেক এই সব বই কিনতে বাধ্য করার অভিযোগ আছে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ আছে, এই জন্য প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে নগদ অর্থ ও দামি উপহার পান শিক্ষকরা।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী সংখ্যা ভেদে দেড় লক্ষ থেকে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত পান শিক্ষকরা। এতে বইয়ের বারতি চাপ সামাল দিতে হচ্ছে শিক্ষার্থীদের। ব্যাহত হচ্ছে সৃজনশীল পদ্ধতিতে শিক্ষা দান। ১৯৮০ সালে আইন করে সব ধরনের নোট ও গাইড বই নিষিদ্ধ করা হয়। প্রতি বছরই এই সব বই বন্ধের নির্দেশনা দেয় শিক্ষা মন্ত্রনালয়। ওই নির্দেশনা উপেক্ষা করে প্রকাশ্যেই বিক্রি হচ্ছে নোট ও গাইড বই।
অভিভাবকদের অভিযোগ, শিক্ষকরা নোট বইয়ের তালিকা শিক্ষার্থীদের হাতে ধরিয়ে দেয়। বেশীর ভাগ স্কুলেই অভ্যন্তরীন পরীক্ষায় এই সব বই থেকে প্রশ্ন করা হয়। তাই নোট বই কিনতে বাধ্য হয় শিক্ষার্থীরা। শিক্ষকরা ক্লাশে ঠিক ভাবে পড়ান না বলেই গাইড বইয়ের বেশি চাহিদা। শিক্ষকদের মনোনিত গাইড ও নোট বই না কিনলে পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ার হুমকি দেয় শিক্ষকরা।
এলাকার অভিজ্ঞ, দক্ষ, সচেতন ও শিক্ষা বীদরা বলছেন সৃজনশীল পদ্ধতি বেশির ভাগ শিক্ষকই আয়ত্ব করতে পারেননি। এতে বেড়েছে গাইড বইয়ের উপর নির্ভরশীলতা। ২০০৮ সালে একটি রির্ট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গাইড বই পড়ানো ও বিপণ নিষিদ্ধ করেন হাইকোর্ট।
এই বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, জেলা অফিসার কর্তৃক মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বইয়ের দোকান গুলোতে চল্লশি করা হয়। এ বছর এখনো করা হয়নি, তবে তা অবশ্যই করা হবে।
উপজেলা নির্বাহি অফিসার রাসেল মিয়া বলেন, নোট ও গাইড বই সরকারী ভাবে নিষিদ্ধ, এই বিষয়ে অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।