কলারোয়ায় ১৫০ বিঘা ফসলি জমি মালিকদের ফেরত দেয়ার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন
সাজমিন সাথী, কলারোয়া (সাতক্ষীরা) থেকে :
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় চক জয়নগর, মানিকহার, ধানদিয়া, কাটাখালি ও দক্ষিণ ধানদিয়া ১৫০ বিঘা ফসলি জমির মালিকদের জমি ফেরত না দেওয়ার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
বুধবার সকাল ১০ টায় কলারোয়া প্রেসক্লাবে জয়নগর গ্রামের সোহারাব ও বারিক, উভয় পিতা: মৃত ফয়েজ উদ্দীন মোড়ল, ধানদিয়া গ্রামের সামছের গাজী, পিতা: মোবারক, কৃপারামপুর গ্রামে লুৎফার, পিতা: বাবর আলী সংবাদ সম্মেলনে তারা তাদের তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, উল্লেখিত ধানদিয়া ঘেরটি দীর্ঘ বছর যাবৎ বিবাদী মো: রেজাউল করিম, পিতা: মো: আব্দুস সাত্তার ধাবক, তালা উপজেলার পাঁচপাড়া গ্রামের ঘের হিসাবে মাছ চাষ করিয়া আসিতেছে। যারা ঘেরের জমির মালিক তারা সকলেই বিবাদীকে ঘেরটি লিজ দিতে অনিচ্ছুক। তাছাড়া তাদের ঘেরের পার্শ্বে যাদের ভাল জমি আছে এই ঘেরটিতে মাছ চাষ করার কারণে তাদের জমিও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তাছাড়া ধানদিয়া, কৃপারামপুর, চকজয়নগর, মানিকহার, গড়েরডাঙ্গা এবং ধানদিয়া কাটাখালি এলাকার প্রায় ৩ হাজার বিঘা জমি জলাবদ্ধতার স্বীকার। কপোতাক্ষ নদ খনন ও ধানদিয়া খাল খননের পরও এই দুরাবস্থা কাটেনি ও ঘেরটি আশপাশের বসত বাড়ীর মালিকেরা তাদেরকে খারাপ হিসাবে গণ্য করে। এ কারণে যারা জমির মালিক তারা কেউ বিবাদীকে যে জমি লিজ দেয়া হয়েছে তা আর তাকে লিজ দেবে না। এখন থেকে তারা ঐ ঘেরটি ফসল উপযোগী করে ফসল উৎপাদন কাজে ব্যবহার করবে। তাতে কারো ভাল জমির ক্ষতি হবে না বা কারো বসত ঘরে পানি প্রবেশ করবে না অথবা জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে নানা রোগের উপদ্রব হবে না। কিন্তু বিবাদী জোর পূর্বক তাতে বাঁধ বেধেছে। উল্লেখ্য যে উক্ত জমিগুলো ৩ ফসলের জমি, তারা চাষী মানুষ তাই এখন উক্ত জমিতে চাষাবাদ করে তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে সংসার চালাতে পারবে। এখন বিবাদী উক্ত জমি ফেরত দিবে না জমির মালিকদের। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি চেয়ারম্যানকে জানানো হলে, চেয়ারম্যান বিবাদীকে জমির মালিকদের জমি ফেরত দেওয়ার কথা বললে তিনি তাতে কোন কর্ণপাত করে নি। একারণে অপরাধমূলক ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। ইতিমধ্যে তারা তালা উপজেলা ও কলারোয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারে নিকট অভিযোগ দায়ের করেছে।
বিবাদীর কাছ থেকে ঘেরটি ছাড়াইয়া নিয়ে ফসল উৎপাদন করতে পারে তার জন্য প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছে।
এমন কি তাদের পরিবার পরিজনকে বড় ধরনের ক্ষতি করবে বলে বিবাদী প্রকাশে হুমকি ধামকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। বিষয়টি পত্রিকায় প্রকাশ করে প্রশাসনের স-ুদৃষ্টি কামনা করেছেন।