কলারোয়ার দেয়াড়ায় ইয়াবা,গাঁজা ও জুয়া ব্যবসায়ী খোকা ও তৈয়বের বিরুদ্ধে গ্রামবাসির বিক্ষোভ
সাজমিন সাথী, সাতক্ষীরা জেলা সংবাদদাতাঃ
কলারোয়ার দেয়াড়ায় ইয়াবা, গাঁজা ও জুয়া ব্যবসায়ী খোকা ও তার ছেলে তৈয়বের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে গ্রামবাসি। সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার ১১ নং দেয়াড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামবাসি কাশিয়াডাঙ্গা বাজারে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেন।
সমাবেশে কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের হারুন-অর-রশীদ, সোহরাব হোসেন, সাহরাব খান, আমিনুর রহমান খান ও রেজাউলসহ আরো অনেকে অভিযোগ আকারে বলেন, আমাদের কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের মৃত জোহর মুন্সী শেখের ছেলে শেখ রফিকুল ইসলাম ওরফে খোকা ও খোকার ছেলে তৈয়ব আলীর দাপটে আমারা এলাকাবাসি অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছি। তারা প্রকাশ্যে ইয়াবা, গাঁজা বিক্রি ও খাওয়া এবং তাদের বাপ-বেটার নেতৃত্বে জুয়ার আসর পরিচালনা করায় এলাকার যুবক ও মধ্য বয়সী অধিকাংশ লোকজন ওই সমস্ত কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ছে। ফলে এলাকার মানুষ নেশাগ্রস্থ ও অর্থনৈতিক ভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তাদের ওই কর্মকান্ডে কেউ প্রতিবাদ করলে তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলাসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকী দিয়ে যাচ্ছে।
বক্তারা আরো বলেন, প্রশাসনসহ আইনশৃঙখলা বাহিনীর কড়া নিষেধ থাকা সত্ত্বেও দেয়াড়া কাশিয়াডাঙ্গা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পেছনে কপোতাক্ষ নদীর ধারে বাগানের মধ্যে দিনের বেলায় জুয়ার আসর চালায় তারা। ওই জুয়ার আসরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ও যশোরের কেশবপুর, মনিরামপুর, রাজগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকার জুয়াড়ীরা খেলায় অংশ গ্রহন করে। ফলে এলাকার যুবক ছেলেরা ওই জুয়া খেলে অর্থনৈতিকভাবে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
কাশিয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুর কাদেরের ছেলে ভ্যান চালক তৌহিদুর রহমান বলেন, সম্প্রতি তিনি তৈয়বের দেওয়া ইয়াবা ও গাঁজা বহন করতে রাজি না হওয়ায় তাকে ইয়াবা ও গাঁজা খাইয়ে অজ্ঞান করে রেখে দেয়। বর্তমানে তিনি মাথার সমস্যায় ভুগছেন।
গ্রামবাসি আতিয়ার রহমানের ছেলে তানজিদ খান জানান, আমি গরীব মানুষ, মাছের ব্যবসা করে স্ত্রী, সন্তানদের নিয়ে কোন রকমে সংসার চালায়। আমার নিকট থেকে কয়েক দিনের নাম করে জ্যৈষ্ঠ মাসে খোকা ৩১,৫০০ টাকার ছোট মাছ বাকি নেয়। আজ পর্যন্ত ৫ হাজার টাকা দিয়েছে। বকেয়া টাকা চাইলে চাঁদাবাজি মামলাসহ বিভিন্ন ধরণের হুমকী ধামকী দিয়ে যাচ্ছে।
গ্রামবাসি মালোপাড়া এলাকার শচীন কুমার বিশ্বাস বলেন, প্রতি বছর মৎস্য মৌসুমে আমরা সাগরে মাছ ধরতে যায়। ওই মাছের উপর আমাদের সারা বছর সংসার চলে। সাগরে যাওয়ার সময় আমাদের কিছু অর্থের প্রয়োজন হয়। তাই তিন মাসের জন্য দেয়াড়া গ্রামের আয়ুব আলীর নিকট থেকে স্টাম্প করে দেড় লক্ষ টাকা নেয়। নির্ধারত তারিখের মধ্যে ওই টাকা পরিশোধ করে দেয়। কিন্তু সুদের টাকা দিতে না পারায় স্টাম্পটি ফেরত দেয়নি। বর্তমানে ওই স্টাম্পটিতে খোকার নেতৃত্বে ৬ লক্ষ টাকা লিখে আমার বিরুদ্ধে সাতক্ষীরা আদালতে মামলা দিয়েছে।
এইভাবে চাকুরী দেওয়ার নাম করে টাকা নেওয়া, ইউনিয়নে বিভিন্ন প্রকল্পে নাম তালিকাভুক্ত করার নামে টাকা নেওয়াসহ একেরপরএক বিভিন্ন কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ হয়ে তাদের বিরুদ্ধে গ্রামবাসি আইনশৃঙখলা বাহিনীসহ প্রশাসনের সৃ-দৃষ্টি কামনা করে এ বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।
এ ব্যাপারে কাশিয়াডাঙ্গা ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম ওরফে খোকা বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগটি সম্পূর্ন ষড়যন্ত্রমূলক। আগামীতে হারুন আমার বিরুদ্ধে ওয়ার্ড আ,লীগের সভাপতি প্রার্থী হবে বিধায় তার নেতৃত্বে এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ সাজিয়ে আমার বিরুদ্ধে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে