করোনাও থামাতে পারেনি দুপচাঁচিয়া ধাপের হাটের জুয়া ! শত শত জুয়াড়ি এক তাবুতে গাঁ—ঘেসে খেললেও প্রশাসনের নিরব ভূমিকা পালন
রায়হানুল ইসলাম, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি : করোনাও থামাতে পারেনি বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার ধাপের হাটের জুয়া! শত শত জুয়াড়— এক তাবুতে গাঁ—ঘেসে খেললেও প্রশাসনের নিরব ভূমিকা পালন অতিষ্ঠ করে তুলেছে এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষদের। দীর্ঘদিন ধরে চলা এ জুয়ার আসর দুপচাঁচিয়া থাকা ও নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় মাত্র ১ থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে হলেও তা যেন দেখার কেউ নেই।
নদীর তীরে রোববার ও বৃহস্পতিবারের হাটে প্রকাশ্যে তাবু টাঙ্গিয়ে এ জুয়া চলছে বছরের পর বছর। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক ষাটোর্দ্ধ এক বৃদ্ধ জানান, এই জুয়া খেলার কারণে এই উপজেলার শত শত মানুষের সংসার ভেঙ্গেছে, নি:স্ব হয়েছে। তবুও জুয়ার বোর্ড পরিচালনাকারী আবু সাঈদ, আকের ,হাকিম ও রনি নির্ভয়ে প্রশাসন কিছু না করায় বছরের পর বছর এই ধাপের হাটে জুয়ার আসর চালিয়ে যাচ্ছে। এইসব ছোট ছোট ক্যাসিনো সম্রাটদের কেন ছাড় দেয়া হচ্ছে তা আমরা বুঝিনা।
জানা গেছে, ধাপেরহাটের জুয়া পরিচালনাকারী আবু সাঈদ নাকি এলাকার সাধারণ মানুষকে ভয়—ভীতি দেখিয়ে দিনের পর দিন এব্যবসা পরিচালনা করছেন। তার রয়েছে লাঠিয়াল বাহিনীও। যারা কেউ জুয়ার বিরুদ্ধে কিছু বলবে তাদের দশা নাকি করুণ!
গোপনসূত্রে জানা যায়, তার পিছনে নাকি জেলা, উপজেলা ও স্থানীয় শক্তিশালী গ্রূপের জোর লবিং কিছুতেই দমাতে পারছেনা। তবে এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষের দাবি অবিলম্বে করোনা ভাইরাসের কারণে হলেও প্রশাসনের উর্দ্ধোতন কতৃর্পক্ষের হস্তক্ষেপে ধাপেরহাটের জুয়া বন্ধ করা হোক।
এবিষয়ে দুপচাঁচিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এস,এম জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি আমাদের জানা ছিলনা তবে এধরণের ঘটনায় সত্যতা পেলে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হবে। দুপচাঁচিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমানও একই কথা বলেন।