অতিতের সব জনপ্রতিনিধি কে ছাড়িয়ে জনপ্রিয়তার শির্ষে সোনাতলা পৌর মেয়র নান্নু
জাহিনুর ইসলাম: একটি এলাকার প্রতিনিধিত্বপূর্ণ সমাজব্যবস্থা একটি সভ্যসমাজের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রতিনিধিত্বপূর্ণ সমাজ দিয়েই পৃথিবীতে মানবসভ্যতার সূচনা করেছিলেন। একজন দায়িত্বরত জনপ্রতিনিধি একটি বিশাল জনগোষ্ঠীর সার্বিক কর্মকাণ্ডের দায়িত্ব বহন করেন।
সেজন্য একজন জনপ্রতিনিধির যোগ্যতা, প্রজ্ঞা ও দূরদর্শিতার ওপর নির্ভর করে সে এলাকার ভবিষৎ গড়ে উঠে । তেমনী একজন ন্যায় পরায়ন,সৎ নির্ভিক,জনদরদি,মানুষের কথা বলছি ,যিনি মাত্র ৫ বছরে তার কর্মকান্ডে মন কেড়েছেন এ এলাকার সব শ্রেনীর মানুষের, হয়ে উঠেছেন জননন্দিত পৌর মেয়র ,বলছি বগুড়া সোনাতলা উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন কারী জাহাঙ্গীর আলম নান্নুর কথা ।
ছোট্র বেলা থেকেই জাহাঙ্গীর আলম নান্নু সমাজের অসহায় দুঃখি মানুষের পাশে দারিয়েছেন,তাদের দুঃখ দুরদর্শা লাঘবে সব সময় সঙ্গি হিসেবে পাশে থেকে কাজ করেছেন। এবং সমাজের অবহেলিত শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে রেখেছেন নিরলস ভুমিকা,সোনাতলা ভ্যান-রিক্্রা শ্রমিক,হোটেল শ্রমিক,ট্রাক শ্রমিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব পালন করে খুব অল্প সময়ের মধ্যে শ্রমিক ভাইদের নয়নের মনিতে পরিনত হয় এ শ্রমিক নেতা। এর পর দুই হাজার পনের সালে সোনাতলা পৌরসভার প্রথম নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করে পৌর মেয়র নির্বাচিত হয়।
এরপর শুরু হয় একের পর এক উন্নয়ন মূলক কর্ম কান্ড ,যারফলে সোনাতলাবাসী খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পেয়ে যায় তাদের কাংখিত উন্নয়ন,মানবসেবায় সর্বক্ষন নিজেকে ব্যাস্ত রাখেন এ মেয়র,স্বচ্ছ তালিকায় মধ্যে দিয়ে পৌর এলাকার অসহায়,গরিব দুখি মানুষের একটি তালিকা করে বিভিন্ন সময় তাদের কাছে পৌছেদেন সরকারী ও নিজ উদ্যেগে বিভিন্ন ত্রান সামগ্রী,এছাড়াও প্রতিটি ঈদ,ও উৎসবে সকল র্ধমের নিম্ন আয়ের মানুষের মাঝে আনন্দ বাড়িয়ে দিতে, দিয়ে আসছেন শাড়ি.লুঙ্গিসহ বিভিন্ন পোশাক সামগ্রি, সোনাতলা পৌরসভার নি¤œ আয়ের মানুষের ছেলেমেয়েদেও সু-শিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য গড়ে তুলেছেন দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,যে খানে নামমাত্র মাসিক বেতন ও বিনা বেতনে লেখাপড়া করছে হাজারো কমলমতি শিক্ষার্থীরা।
সোনাতলা পৌরসভার ৯টি ওয়ার্ডে ব্যাক্তিগত ভাবে করেছেন কবরস্থান,মসজিদ,মক্ত্যব ও মাদরাসা। অন্যায়কে কঠোরভাবে প্রতিহিত ও ন্যায়কে প্রতিষ্ঠিত করতে আজ অবদি চালিয়ে যাচ্ছেন সংগ্রাম। সোনাতলাকে দেশ ও বিশ্বেও কাছে তুলে ধরতে এ এলাকার ক্রিড়া ও সংস্কৃতি কে এগিয়ে নিতে গড়ে তুলেছেন সোনাতলা খেলোয়ার কল্যাণ সমিতি যার মাধ্যমে নিজ অর্থব্যায়ে প্রতিনিয়ত প্রশিক্ষন নিচ্ছেন নারী-ও পুরুষ খুদে ফুটবলাররা,যার ফল¯্রতিতে সম্প্রতি বগুড়া জেলা বঙ্গবন্ধু বঙ্গমাতা গোলকাপ ফুটবল টুর্ণামেন্টে জেলা পর্যায়ে চাম্পিয়ন হয় এ সংগঠনের খেলোয়াররা। প্রাকৃতিক দূর্যোগ মহূর্ত্বে সবার আগে ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের পাশে দাড়িয়ে দিয়ে আসছেন ,সাহায্য সহযোগিতা।
প্রতিটি ক্ষেত্রে রেখে চলেছেন কর্মদক্ষতা ,ব্যাক্তিগত ভাবে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন সক্রিয় কর্মী হলেও দলমত নির্বিশেষে সব মানুষের পাশে দারানোয় তিনি পরিনিত হয়েছেন এ এলাকার আপামোর জন সাধারণের শেষ আশ্রয়স্থল ,আবাল বৃদ্ধা,কিশোর-কিশোরীথেকে শুরু করে সবার মন জয় করে নিয়েছেন এ নেতা। তাইতো তার সম্প্রতি সামান্য অসুস্থ্যতায় আশুরোগ মুক্তি কামনায় অনেকে করেছেন নফল রোজা,দ্রুত সুস্থ্যতায় মহান রব্বুল আলামিনের কাছে দু-হাত তুলে করেছেন প্রর্থনা ।
এব্যাপারে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম নান্নুর কাছে মানুষের এমন ভালবাসার প্রতিফল কি ভাবে দেখছেন তিনি জানতে চাইলে তিনি বলেন,মহান রাব্বুল আলামিনের উপর আস্থা ও ভরসায়,জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশে অনুপ্রানিত হয়ে তার আদর্শকে বুকে ধারন করে,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার দেশপ্রেম ও দেশের মানুষের জন্য যে ভাবে কাজ করছেন তা অনুসরণ করে চলেছেন মাত্র। আমি দেখেছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সব সময় খেঠে খাওয়া মানুষের মুখে হাঁসি ফুটানোর জন্য নানা মূখি পদক্ষেপ গ্রহন করে বাস্তবায়ন করেছেন। আমি এটা দেখে মানুষের পাশে দারানো চেস্টা করেছি মাত্র।